সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প



প্রাচীনকালে অশ্বপতি নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর অনেক বছর ধরে সন্তান ছিল না। বহু প্রার্থনা ও যজ্ঞ করার পর দেবী সাভিত্রী তাঁকে কন্যা সন্তান দান করেন। কন্যার নাম রাখা হয় সাবিত্রী।


সাবিত্রী বড় হয়ে ওঠে, এক গুণবতী, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী নারী হিসেবে। অনেক রাজপুত্র তাঁকে বিয়ে করতে চাইলেও সে নিজের জীবনসঙ্গী নিজে বেছে নিতে চায়। একদিন সে এক বনবাসী যুবক সত্যবান-এর প্রেমে পড়ে। সত্যবান ছিলেন রাজবংশীয়, কিন্তু পিতার রাজ্য হারিয়ে বনেই বাস করতেন।


ঋষি নারদ সাবিত্রীকে সাবধান করে বলেন, “সত্যবানের জীবনের আয়ু খুব অল্প। মাত্র এক বছরের মধ্যে সে মারা যাবে।” কিন্তু সাবিত্রী অটল থাকল। সে বলে, “আমি একবার মন থেকে যাকে গ্রহণ করেছি, সে-ই আমার স্বামী। আমি তার সঙ্গেই থাকব।”


বিয়ে হয়ে যায়। সাবিত্রী সত্যবানের সাথে বনেই থাকতে শুরু করে। দিন যায় । সাবিত্রী, সত্যবানের সঙ্গে যায় বনে কাঠ কাটতে।
বনে হঠাৎ সত্যবান মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায়। ঠিক তখনই আসে যমরাজ — মৃত্যুর দেবতা, সত্যবানের প্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সাবিত্রী যমরাজকে অনুসরণ করতে থাকে। যমরাজ বলে, “তুমি ফিরে যাও, স্ত্রী হয়ে তুমি নিজের ধর্ম পালন করেছো।”


কিন্তু সাবিত্রী বলে, “আমি ধর্মের পথে চলছি, তাই স্বামীর সঙ্গ ছেড়ে যেতে পারি না।” সে বুদ্ধিমত্তার সাথে যমরাজকে নানা যুক্তি দেয়।
যমরাজ খুশি হয়ে এক এক করে তিনটি বর দিতে রাজি হন।
১. তার শ্বশুর-শাশুড়ির চোখ যেন ফিরে আসে
২. তাদের রাজ্য যেন ফিরে পাওয়া যায়
৩. সে যেন বহু সন্তান লাভ করে


তখন যমরাজ বুঝতে পারেন, যদি সত্যবান ফিরে না আসে, তবে সাবিত্রী সন্তান লাভ করতে পারবে না। অতএব, তিনি সত্যবানের প্রাণ ফিরিয়ে দেন।
সাবিত্রী ফিরে আসে, সত্যবান জেগে ওঠে। এভাবেই এক সতী নারীর সাধনা ও প্রেম যমরাজকেও পরাজিত করে।
এই কাহিনি আজও বিবাহিত নারীদের মধ্যে এক মহান আদর্শ হয়ে আছে, যেখানে প্রেম, নিষ্ঠা ও বুদ্ধিমত্তা একত্রে সত্যিকারের শক্তির প্রকাশ ঘটায়।

সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প

প্রাচীনকালে অশ্বপতি নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর অনেক বছর ধরে সন্তান ছিল না। বহু প্রার্থনা ও যজ্ঞ করার পর দেবী সাভিত্রী তাঁকে কন্যা সন্তান দান ক...