বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

মা সরস্বতীর দ্বাদশ নাম স্তোত্র



প্রথমং ভারতী নাম ,দ্বিতীয়ং চ সরস্বতী।
তৃতীয়ং সারদা দেবী ,চতুর্থং হংসবাদিনী॥
পঞ্চমং জগতী খ্যাতা, ষষ্ঠং বাগীশ্বরী তথা।
সপ্তমং কুমুতি প্রোক্তা,অষ্টনং ব্রহ্মচারিণীং॥
নবমং বুদ্ধিদাত্রী চ, দশমং বরদায়িণী।
একাদশং চন্দ্রকান্তি, র্দাদশং ভুবনেশ্বরী॥
দ্বাদশৈতানি নামানিত্রিসন্ধ্যাং যঃপঠেন্নরঃ।
জিহাগ্রে বসতে নিত্যং ব্রহ্মরূপা সরস্বতী ॥

🙏জয় মা সরস্বতী ,হে মা সরস্বতী সবাইকে বিদ্যা ,বুদ্ধি জ্ঞান প্রদাণ করুন 🙏

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলায় নবগ্রহ বীজমন্ত্র


সূর্যের বীজমন্ত্র
‘ওম হাং হীং হৌং সঃ সূর্যায় নমঃ’
👉রবিবার সকালে স্নানের পরে ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা ভালো |
চন্দ্র বীজমন্ত্র
‘ওম শ্রাং শ্রীং শ্রৌং সঃ চন্দ্রমসে নমঃ’
👉সোমবার সকালে ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা ভালো |
মঙ্গল বীজমন্ত্র
‘ওম ক্রাং ক্রীং ক্রৌং সঃ ভৌমায় নমঃ’
👉
মঙ্গলবার সকালে ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা ভালো |
বুধ বীজমন্ত্র
‘ওম ব্রাং ব্রীং ব্রৌং সঃ বুধায় নমঃ’
👉বুধের বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
বৃহস্পতি বীজমন্ত্র
‘ওম গ্রাং গ্রীং গ্রৌং সঃ গুরুবে নমঃ’
👉রোজ সন্ধেবেলা এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
শুক্র বীজমন্ত্র
‘ওম দ্রাং দ্রীং দ্রৌং সঃ শুক্রায় নমঃ’
👉শুক্রবার সকালে স্নানের পর এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
শনি বীজমন্ত্র
‘ওম প্রাং প্রীং প্রৌং সঃ শনৈশ্চরায় নমঃ’
👉শনিবার এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
রাহু বীজমন্ত্র
‘ওম ভ্রাং ভ্রীং ভ্রৌং সঃ রাহবে নমঃ’
👉
রোজ রাতে এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
কেতু বীজমন্ত্র
‘ওম স্রাং স্রীং স্রৌং সঃ কেতবে নমঃ’
👉রোজ রাতে এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভ্রামরী প্রাণায়াম কীভাবে করবেন?

 ‘ভ্রমর’ শব্দের অর্থ মৌমাছি, আর ভ্রামরী প্রাণায়ামের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি করতে করতে মৌমাছির গুঞ্জনের মতো শব্দ করতে হয়। কীভাবে এই প্রাণায়াম করবেন?

  • প্রথমে, একটি মাদুরে বসে শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। পা মুড়ে আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসুন। হাতগুলো হাঁটুর উপরে রাখুন এবং চোখ বন্ধ করে শিথিল হন। 
  • এরপর, মুখ বন্ধ রাখুন তবে দাঁতের মাঝে কিছুটা ফাঁক রাখুন। হাত দুটো পাশে সোজা করে কানের কাছে আনুন এবং মাঝের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করুন। 
  • ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ার সময় গলা দিয়ে মৌমাছির মতো গুনগুন শব্দ করুন। মুখ বন্ধ রেখে শব্দ গলা থেকে আসবে এবং শ্বাস ছাড়ার সময় যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে শব্দ করবেন।
  • গুনগুন শব্দ করার সময় গলা, মাথা ও চোয়ালে মৃদু কম্পন অনুভব করবেন, যা মন ও শরীরকে চাপমুক্ত করবে। এক রাউন্ড শেষে আবার শ্বাস নিন এবং এই প্রক্রিয়াটি ৫-৭ বার পুনরাবৃত্তি করুন। 

উপকারিতা 

ভ্রামরী প্রাণায়াম মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শান্ত করে, স্নায়ুকে শিথিল করে, রাগ ও উদ্বেগ দূর করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত অভ্যাসে একাগ্রতা, মনঃসংযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মধু ও পিঁপড়ের গল্প

এক ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে ছিল, তার পাশ দিয়ে একটি ছোট পিঁপড়া যাচ্ছিল। মধুর ঘ্রাণ পেয়ে থেমে গেল পিঁপড়াটি। ভাবল, একটু মধু খেয়ে নেই, তারপর সামনে যাব। প্রথম চুমুক খেলো, খুব মজা পেল। ভাবল, আরেকটু খাই। আরও এক চুমুক খেলো। খেতে খেতে সামনে চলতে থাকল, আর ঠোঁট থেকে মধু চেটে খাচ্ছিল। ভাবল, আরেকটু খেলে মন্দ হবে না। 


ফিরে গিয়ে আবার মধু খেতে শুরু করল। এবার পুরো মধুর উপর উঠে বসে মধু খেতে লাগল। খেতে খেতে তার পেট ফুলে গেল, আর ধীরে ধীরে তার পা দুটো মধুর মধ্যে ডুবে যেতে লাগল। তখন টনক নড়ল, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। মধু থেকে বের হতে আপ্রাণ চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না। 


মধুতে পুরো শরীর আটকে গেল, আর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত মধুর মধ্যে আটকে পড়েই মারা গেল পিঁপড়াটি।


সারাংশ : দুনিয়ার মোহ অনেকটা মধুর মতো। অল্পতে তুষ্ট থেকে সৎভাবে জীবন কাটালে মানুষ বেঁচে যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত লোভে পড়ে সব কিছু পেতে চাইলে, একদিন সেই মোহের জালে আটকে ধ্বংস হয়ে যাবে।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শ্রী গণেশ মন্ত্র

শ্রী গণেশ


বুধবারের দিনে গণেশের পূজা করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে উপবাস করে পূজা করলে ভক্তরা গণেশের কৃপা লাভ করেন এবং জীবনের সকল বাধা-বিপত্তি দূর হয়। হিন্দু ধর্ম মতে, গণেশ যে কোনও শুভ কাজের আগে পূজিত হন, কারণ তিনি বিঘ্নহর্তা। তাঁর আশীর্বাদে জীবনের সব দুঃখ ও দুর্দশা দূর হয়। বিশেষভাবে, বুধবারে কিছু নির্দিষ্ট মন্ত্র জপ করা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়, যা জীবনের সমস্যাগুলি সমাধানে সাহায্য করে। এই দিন মন্ত্র জপের মাধ্যমে ভক্তরা গণেশের কাছ থেকে আশীর্বাদ কামনা করেন এবং জীবনের সব দুঃখ থেকে মুক্তি পান।

গণেশ পূজা মন্ত্র:

একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।

অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।


বক্রতুণ্ড মহাকায় সূর্যকোটি সমপ্রভ।
নির্বিঘ্ন কুরু মে দেব সর্বকার্য়েষু সর্বদা।।

গণেশকে প্রসন্ন করার সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্র এটি। যেকোন কাজ শুরুর আগে এই মন্ত্র জপ করলে সেই কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে।

ধ্যান মন্ত্র:

ওঁ খর্বং স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং
প্রস্যন্দম্মদগন্ধলুব্ধ মধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্।
দন্তাঘাত বিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দুরশোভাকরং,
বন্দেশৈল সুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।

মন্ত্র: ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’ বা ‘ওঁ গাং গণেশায় নমঃ

অর্থাৎ, যিনি খর্বাকৃতি, স্থূল শরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমর সমূহের দ্বারা যাঁর গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাঁর দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।

গণেশ গায়ত্রী মন্ত্র

ওম একদন্তায় বিদ্মহে বক্রতুণ্ডায় ধীমহি তন্নো বুদ্ধি প্রচোদয়াৎ।।

গণেশ বন্দনা:

বন্দ দেব গজানন বিঘ্ন বিনাশন।
নমঃ প্রভু মহাকায় মহেশ নন্দন।।
সর্ববিঘ্ন নাশ হয় তোমার শরণে।
অগ্রেতে তোমার পূজা করিনু যতনে।
নমো নমো লম্বোদর নমঃ গণপতি।
মাতা যার আদ্যাশক্তি দেবী ভগবতী।।
সর্বদেব গণনায় অগ্রে যার স্থান।
বিধি-বিষ্ণু মহেশ্বর আর দেবগণ।।
ত্রিনয়নী তারার বন্দিনু শ্রীচরণ।
বেদমাতা সরস্বতীর লইনু শরণ।।

মন্ত্রঃ – ওঁ গাং গণেশায় নমঃ।


প্রণাম মন্ত্র:

একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।
বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।

অর্থাৎ,যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শ্রী অষ্টলক্ষ্মী স্তোত্রম

 



আদি লক্ষ্মী

সুমনস বন্দিত সুন্দরি মাধবি চন্দ্র সহোদরি হেমমযে।
মুনিগণ বন্দিত মোক্ষপ্রদায়িনী মঞ্জুল ভাষিণী বেদনুতে।
পঙ্কজবাসিনী দেবসুপূজিত সদ-গুণ বর্ষিণী শান্তিনুতে।
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী আদিলক্ষ্মী পরিপালয় মাম্ ।

দেবী ধনলক্ষ্মী

ধিমিধিমি ধিন্ধিমি ধিন্ধিমি দিন্ধিমী দুন্দুভি নাদ সুপূর্ণময়ে।
ঘুমঘুম ঘুঙ্ঘুম ঘুঙ্ঘুম ঘুঙ্ঘুম শঙ্খনিনাদ সুবাদ্যনুতে।
বেদ পুরাণেতিহাস সুপূজিত বৈদিক মার্গ প্রদর্শযুতে।
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী ধনলক্ষ্মী রূপেণ পালয় মাম্।

দেবী ধান্যলক্ষী

অহিকলি কল্মষ নাশিনী কামিনী বৈদিকরূপিণী বেদময়ে। 
ক্ষীরসমুদ্ভব মঙ্গলরূপিণী মন্ত্রনিবাসিনী মন্ত্রনুতে।
মঙ্গলদায়িনী অম্বুজবাসিনী দেবগণাশ্রিত পাদযুতে। 
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী ধান্যলক্ষ্মী পরিপালয় মাম্।

গজ লক্ষ্মী

জয় জয় দুর্গতিনাশিনী কামিনী বৈদিক রূপিণী বেদমযে। 
রধগজ তুরগপদাতি সমাবৃত পরিজন মণ্ডিত লোকনুতে। 
হরিহর ব্রহ্ম সুপূজিত সেবিত তাপ নিবারিণী পাদযুতে। 
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী গজলক্ষ্মী রূপেণ পালয় মাম্।

দেবী সন্তানলক্ষ্মী

অয়ি খগবাহিনী মোহিনী চক্রিণী রাগবিবর্ধিনী জ্ঞানময়ে। 
গুণগণবরিধী লোকহিতৈষিণী সপ্তস্বর ভূষিত গাননুতে। 
সকল সুরাসুর দেব মুনীশ্বর মানব বন্দিত পাদযুতে। 
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী সন্তানলক্ষ্মী পরিপালয় মাম্।

দেবী বীরলক্ষ্মী বা ধৈর্যলক্ষ্মী

জয়বরবর্ষিণী বৈষ্ণবী ভার্গবী মন্ত্র স্বরূপিণী মন্ত্রময়ে। 
সুরগণ পূজিত শীঘ্র ফলপ্রদ জ্ঞান বিকাসিনী শাস্ত্রনুতে। 
ভবভয়হারিণী পাপবিমোচনি সাধু জনাশ্রিত পাদযুতে। 
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী ধৈর্যলক্ষ্মী সদাপালয় মাম্।

দেবী বিদ্যালক্ষ্মী

প্রণত সুরেশ্বরী ভারতী ভার্গবী শোকবিনাশিনী রত্নময়ে। 
মণিময় ভূষিত কর্ণবিভূষণ শান্তি সমাবৃত হাস্যমুখে। 
নবনিধিদায়িনী কলিমলহারিণী কামিত ফলপ্রদ হস্তযুতে। 
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী বিদ্যালক্ষ্মী সদাপালয় মাম্।

দেবী বিজয়লক্ষ্মী

জয় কমলাসনি সদ্গতিদায়িনী জ্ঞানবিকাসিনী গানময়ে। 
অনুদিনমর্চিত কুঙ্কুম ধূসর ভূষিত বসিত বাদ্যনুতে। 
কনকধরাস্তুতি বৈভব বন্দিত শঙ্করদেশিক মান্যপদে। 
জয় জয় হে মধুসূদন কামিনী বিজয়লক্ষ্মী পরিপালয় মাম্।

শ্রীশ্রী মা লক্ষ্মীর অষ্টোত্তর শতনাম

পন্ডিত কালীপ্রসন্ন বিদ্যারত্ন সম্পাদিত
শতনাম স্তোত্র



পদ্মপলাশাক্ষি নাম জয় জয় জয় | ১
মহালক্ষ্মী নামে হয় সর্ব্বরোগ ক্ষয় || ২
সুরেশ্বরী নামে নতি করি ভক্তিভরে | ৩
হরিপ্রিয়া নাম স্মরি অন্তর-মাঝারে || ৪
পদ্মালয়া নামে লক্ষ্মী-পদে নমস্কার | ৫
সর্ব্বদাত্রী নামে হয় বিভব-সঞ্চার || ৬
বিশ্বেশ্বরী নামে ডাকি কমলা দেবীরে | ৭
ক্ষীরোদধিসুতা নাম স্মরি ভক্তিভরে || ৮
জগন্মাতা নামে নতি পদ্মযুগে করি | ৯
হৃদিমাঝে দয়াবতী নাম সদা স্মরি || ১০
ত্রৈলোক্যতারিণী নাম করি গো স্মরণ | ১১
বসুবৃষ্টিকরী নাম জগত-পাবন || ১২
সর্ব্বভূতহিতৈষিণী নামে নমস্কার | ১৩
দেবদেবেশ্বরী নাম সার হৈতে সার || ১৪
ভুবনপাবনী নাম স্মরি গো অন্তরে | ১৫
চপলা নামেতে নতি করি ভক্তিভরে || ১৬
ভুবন জননী নাম স্মরি বার বার | ১৭
আর্ত্তিহন্ত্রী নাম স্মরি অন্তর মাঝার || ১৮
ওগো দেবী তব নাম দারিদ্র-হরণী | ১৯
স্মরিলে দুঃখের নাম কমলবাসিনী || ২০
ললিতা নামেতে নতি তোমার চরণে | ২১
প্রদ্যুম্ন জননী নাম স্মরি হৃষ্টমনে || ২২
শরণ্যা নামেতে হয় দুঃখ বিনাশন | ২৩
শীলাবতী নামে স্মরে যত ভক্তগণ || ২৪
পিতৃ-মাতৃরূপা নাম স্মরি হৃদিমাঝে | ২৫
সম্পত্তিদায়িনী নামে সবে সুখে মজে || ২৬
বিদ্যাদাত্রী নাম তব জগতে প্রচার | ২৭
কল্যাণী নামেতে তোমা করি নমস্কার || ২৮
সাগর-নন্দিনী নাম সাগর-ভবনে | ২৯
গুণরাশি-প্রসবিনী তোমা সবে ভণে || ৩০
ক্ষমাশীলা নাম তব বিদিত ভুবন | ৩১
ভগবতী নামে তোমা ডাকে সর্ব্বজন || ৩২
শুদ্ধসত্ত্বস্বরূপিণী তোমারই নাম | ৩৩
সম্পত্তি-রূপিণী হয় তোমার আখ্যান ||৩৪
পার্ব্বতী নামেতে তুমি বিরাজ কৈলাসে | ৩৫
স্বর্গলক্ষ্মী নাম তব অমর নিবাসে || ৩৬
মর্ত্ত্যলক্ষ্মী নাম তব ভূতলে প্রচার | ৩৭
গৃহলক্ষ্মী নাম খ্যাত গৃহীর আগার || ৩৮
বৈকুন্ঠে বৈকুন্ঠপ্রিয়া তব এক নাম | ৩৯
গৃহে গৃহে ঘোষে তব তুলসী আখ্যান || ৪০
ব্রহ্মলোকে তব নাম সাবিত্রী সুন্দরী | ৪১
বৃন্দাবন-বনে নাম ধর রাসেশ্বরী || ৪২
গোলকে তোমার নাম কৃষ্ণপ্রাণাধিকা | ৪৩
ভক্ত-হৃদে তব নাম সর্ব্বার্থ-সাধিকা || ৪৪
মালতী নামেতে থাক মালতী-কাননে | ৪৫
চন্দ্রা নামে শোভা পাও চন্দনের বনে || ৪৬
সুন্দরী তোমার নাম শতশৃঙ্গে জানি | ৪৭
কুন্দবনে কুন্ডদন্তী নামে খ্যাত তুমি || ৪৮
পদ্মাবতী নাম তব হয়. পদ্মবনে | ৪৯
কৃষ্ণপ্রিয়া তব নাম ভান্ডীর-কাননে || ৫০
কেতকী-কাননে তব সুশীলা আখ্যান | ৫১
রাজগৃহে রাজলক্ষ্মী তব এক নাম || ৫২
আত্মবিদ্যা নামে তুমি খ্যাত সর্ব্বস্থানে | ৫৩
সিদ্ধগণ ডাকে তোমা সিদ্ধিদাত্রী নামে || ৫৪
এক নাম ধর তুমি শ্রীকদম্বমালা | ৫৫
কোচবধূপুরে তুমি কোচরাজবালা || ৫৬
সুমতি নামেতে তুমি খ্যাত সর্ব্বস্থান | ৫৭
কুমতি নাশিনী হয় তব এক নাম || ৫৮
এক নাম ধর তুমি সুপ্রিয়বাদিনী | ৫৯
কুলিনা তোমার নাম ওগো সুভাষিণী || ৬০
স্বাহা নামে শোভা পাও অগ্নির গোচরে | ৬১
স্বধা নাম ধর সদা পিতৃলোকপুরে || ৬২
যজ্ঞবিদ্যা তব নাম জগতে প্রচার | ৬৩
গুহ্যবিদ্যা নামে তোমা করি নমস্কার || ৬৪
আন্বীক্ষিকী তব নাম বিদিত ভুবন | ৬৫
দন্ডনীতি বলি নাম করহ ধারণ || ৬৬
জগদ্রূপা নামে তুমি বিদিত জগতে | ৬৭
সুধা নামে খ্যাত তুমি শশাঙ্কপুরেতে || ৬৮
এক নাম মেধা তুমি করিছ ধারণ | ৬৯
শ্রদ্ধা নামে ডাকে তোমা শ্রদ্ধাশীল জন || ৭০
সর্ব্বত্র বিদিত তুমি মহাবিদ্যা নামে | ৭১
মৃতসঞ্জীবনী নাম শমন-ভবনে || ৭২
মহাভাগা এক নাম জানি গো তোমার | ৭৩
সর্ব্বযজ্ঞময়ী নাম সর্ব্বত্র প্রচার || ৭৪
মোক্ষদা নামেতে কর মোক্ষ বিতরণ | ৭৫
সুরভি নামেতে কর গো-ধন রক্ষণ || ৭৬
সুখদা নামেতে সুখ দেও সবাকারে | ৭৭
হর্ষদা নামেতে তোমা স্মরি বারে বারে || ৭৮
শ্রীদাত্রী তোমার নাম করি গো স্মরণ | ৭৯
শস্যা নামে কর তুমি শস্য বিতরণ || ৮০
মহাদেবী তব নাম হিমালয়-ঘরে | ৮১
সুমেরুবাসিনী নাম সুমেরু-শিখরে || ৮২
ধর্ম্মদাত্রী তব নাম ধর্ম্মের গোচর | ৮৩
প্রভাবতী নামে ডাকে সতত ভাস্কর || ৮৪
পরমার্থদাত্রী নাম করহ ধারণ | ৮৫
ক্রোধহীনা তব নাম বিদিত ভুবন || ৮৬
হরিদাস্যপ্রদায়িনী আখ্যান তোমার | ৮৭
কারণরূপিণী নাম জগতে প্রচার || ৮৮
অসারহারিণী নাম খ্যাত সর্ব্বস্থানে | ৮৯
নারায়ণ পরায়ণা নামে তোমা ভণে || ৯০
এক নাম ধর তুমি মহাপুণ্যবতী | ৯১
নন্দিকেশী নাম তব খ্যাত বসুবতী || ৯২
শচী নামে শোভা পাও দেবরাজপুরে | ৯৩
ভোগবতী নামে থাক পাতাল-নগরে || ৯৪
অরিষ্টনাশিনী নাম জগতে প্রচার | ৯৫
হরিহৃদিবিলাসিনী হরির আগার || ৯৬
একবীরা নাম তুমি করহ ধারণ | ৯৭
ভ্রামরী নামেতে কর ভুবন ভ্রমণ || ৯৮
বিরোধিনী তব নাম খ্যাত ভূমন্ডলে | ৯৯
দিগ্ গজগণেরা তোমা বিধাতৃকা বলে || ১০০
শিবদূতী নাম তব জগতে প্রচার | ১০১
ষট্ রূপা তব নাম বেদের মাঝার || ১০২
হুঙ্কাররূপিণী নাম সমর-অঙ্গনে | ১০৩
জৃম্ভণী নামেতে খ্যাত যোদ্ধার সদনে || ১০৪
ভক্তাভিষ্টবিধায়িণী তব এক নাম | ১০৫
বিনোদিনী নামে তুমি খ্যাত সর্ব্ব স্থান || ১০৬
মদন-দমনী নাম মদনের পুরে | ১০৭
শ্রীরতিসুন্দরী নাম রতির গোচরে || ১০৮

নামমালা ভক্তিভরে করিয়া শ্রবণ |
শ্রীলাভ করেন পুনঃ অমর-রাজন ||


ফলশ্রুতি

এই স্তব ভক্তিভরে করিলে শ্রবণ |
কিম্বা অধ্যয়ণ করে যদি কোন জন ||
পাতক তাহার দেহে কভু নাহি রয় |
পুত্রহীন জন পায় সুপুত্র নিশ্চয় ||
ভ্রষ্টরাজ্য রাজা পায় ইহার প্রসাদে |
কীর্ত্তিহীন কীর্ত্তি লভে জানিবে জগতে ||
যশোলাভ ধনলাভ ইহাতেই হয় |
কল্যাণজনক স্তোত্র শাস্ত্রে হেন কয় ||
তাই বলি ভক্তগণ একান্ত অন্তরে |
সদা শুন, সদা পড় ভক্তি সহকারে ||
কমলে কমলে বলি ডাক নিরন্তর |
ডঙ্কা মারি যাবে চলি অমর-নগর ||

মা সরস্বতীর দ্বাদশ নাম স্তোত্র

প্রথমং ভারতী নাম , দ্বিতীয়ং চ সরস্বতী। তৃতীয়ং সারদা দেবী , চতুর্থং হংসবাদিনী॥ পঞ্চমং জগতী খ্যাতা,  ষষ্ঠং বাগীশ্বরী তথা। সপ্তমং কুমুতি প্রোক্...