রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

শ্রী কেনগাল অঞ্জনেয়া স্বামী মন্দির



কেনগালে হনুমানের রহস্য

ভারতের সংস্কৃতি শুধু প্রাচীনই নয়, বরং আজও মানুষকে টানে তার রহস্য আর শক্তিতে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের মন্দির আর আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে গবেষণা হয়েছে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, বিজ্ঞানীরা এখনো এর একটুকুও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেননি। ভক্তরা বলেন—এটা ভগবানের শক্তি। আর বিজ্ঞানীরা খোঁজেন এর পিছনে যুক্তি। আসল সত্যি হলো, প্রাচীন মন্দিরগুলোর মধ্যে এক অদ্ভুত এনার্জি আছে, যা মানুষকে শান্তি আর ভরসা দেয়।


মন্দিরের গল্প

বেঙ্গালুরু থেকে চান্নাপাট্টনার দিকে গাড়ি নিয়ে গেলে, ন্যাশনাল হাইওয়ে ২৭৫-এর ধারে চোখে পড়বে এক অসাধারণ মন্দির—শ্রী কেনগাল অঞ্জনেয়া স্বামী মন্দির। ভগবান হনুমানকে উৎসর্গীকৃত এই মন্দিরের শিকড় নাকি হোয়সলা যুগ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

‘কেনগাল’ নামের ভেতরেই লুকিয়ে আছে মন্দিরের বিশেষত্ব। “কেম্পু” মানে লাল, আর “কল্লু” মানে পাথর। ঠিক সেই লাল পাথর দিয়েই গড়া হয়েছে ভগবান হনুমানের মূর্তি। প্রায় ৫.৫ ফুট উঁচু এই প্রতিমা যেন নিজে থেকেই সিঁদুরে মোড়া। দাঁড়িয়ে থাকা হনুমানের এই রূপ শুধু চোখ ধাঁধানোই নয়, ভক্তদের মনে তৈরি করে অসংখ্য রহস্য আর গভীর বিশ্বাস।


রহস্যের ছোঁয়া

এই মন্দির নিয়ে যে বিশ্বাস ভক্তদের সবচেয়ে টানে, তা হলো—মূর্তিটি নাকি প্রতি বছর সামান্য করে বড় হচ্ছে! আরও আশ্চর্যের কথা হলো—হনুমানের দৃষ্টি ধীরে ধীরে উত্তর দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে বলে বিশ্বাস করা হয়। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই, তবে এই বিশ্বাসই মন্দিরকে ঘিরে তৈরি করেছে এক অলৌকিক আবহ, যা ভক্তদের আস্থাকে আরও দৃঢ় করে।


মন্দিরের শক্তি

প্রতি বছর মকর সংক্রান্তি-র দিনে, অর্থাৎ উত্তরায়ণের প্রথম দিনে, সূর্যের আলো একেবারে সোজা এসে পড়ে ভগবান হনুমানের ওপর। ভক্তরা একে অত্যন্ত শুভ মনে করেন। এখানকার আরেকটি জনপ্রিয় বিশ্বাস হলো—১২ বার প্রদক্ষিণ করলে নাকি যে কোনো মানত পূর্ণ হয়। যুগ যুগ ধরে অসংখ্য ভক্ত এখানে এসে মানসিক শান্তি আর ভগবানের আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছেন।


শেষকথা

শ্রী কেনগাল অঞ্জনেয়া স্বামী মন্দির কোনো সাধারণ মন্দির নয়। এখানে এলে সত্যিই মনে হয়—বিশ্বাস আর রহস্য একসাথে কাজ করছে। একবার গেলে আপনি টের পাবেন—শান্তি আর শক্তি, দুটোই যেন আপনাকে ঘিরে ধরছে। আর হনুমানের আশীর্বাদ ভরিয়ে দিচ্ছে ভেতরটা।

বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫

সম্পর্কে শান্তি — গীতার চিরন্তন উপদেশ

 

🕊️ সম্পর্কে শান্তি — গীতার চিরন্তন উপদেশ

১. ভালোবাসো, কিন্তু আসক্ত হয়ো না

“তোমার কাজ করার অধিকার আছে, কিন্তু তার ফল ভোগ করার অধিকার নেই।” — গীতা 
শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, যখন আমরা প্রত্যাশা না রেখে মন দিয়ে কাজ করি, তখনই প্রকৃত শান্তি আসে। ভালোবাসো মন থেকে, কিন্তু ফলাফলের ওপর নির্ভর করো না—তাতে মানসিক চাপ কমে, সম্পর্কও মধুর হয়।


২. মনকে নিয়ন্ত্রণ করো, শান্তি খুঁজে পাবে

“যে ব্যক্তি মন জয় করতে পেরেছে, তার জন্য মনই সবচেয়ে বড় বন্ধু।” — গীতা 
ভিতরের শান্তি না থাকলে, বাইরের সম্পর্কেও অস্থিরতা তৈরি হয়। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যান, আত্মসমালোচনা আর সচেতন উপস্থিতি অনুশীলন করো—তাতে প্রতিক্রিয়া নয়, সচেতন প্রতিধ্বনি জন্মায়।


৩. বিমুখ নয়, বিচ্ছিন্ন থেকো

“যোগে স্থিত হও, অর্জুন। নিজের কর্তব্য পালন করো, সফলতা বা ব্যর্থতার প্রতি আসক্তি রাখো না।” — গীতা 
বিচ্ছিন্নতা মানে এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং ভালোবেসেও নিজের শান্তি অন্য কারো ওপর নির্ভর না রাখা। এতে সম্পর্ক হয় হালকা, কিন্তু গভীর—বন্ধন নয়, স্বাধীনতা তৈরি হয়।


৪. পরিবর্তনকে সহজভাবে মেনে নাও

“যা হয়েছে, ভালোই হয়েছে। যা হচ্ছে, ভালোই হচ্ছে।” — গীতা 
সম্পর্কেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন আসবেই। যখন সেটা মেনে নিই, তখন দোষারোপ কিংবা অতিরিক্ত কষ্ট অনেকটাই কমে যায়।


৫. অহংকার নয়, জ্ঞান থেকে বলো ও কাজ করো

“যে ব্যক্তি সুখে ও দুঃখে বিচলিত হয় না এবং স্থির থাকতে পারে, সে মুক্তির যোগ্য হয়।” — গীতা 
যখন আমরা ধৈর্য, শ্রদ্ধা আর ভারসাম্য বজায় রেখে সম্পর্কের সমস্যা মোকাবিলা করি, তখন ভালোবাসা ও শান্তি সহজেই জায়গা পায়।


🌿 সম্পর্কের শান্তির জন্য সহজ গীতা-অনুপ্রাণিত অভ্যাস

🔹 প্রতিদিন সকালে বলো: “আমি ভালোবাসা দিতে পারি, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে নয়।”

🔹 তর্ক বা রাগের মুহূর্তে নিজেকে জিজ্ঞেস করো: “আমি কি সচেতনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি, না অহং থেকে?”

🔹 রাগ বা ক্ষোভ ছাড়তে মনে রেখো: “অন্যকে আমি বদলাতে পারি না, কিন্তু নিজে শান্ত থাকতে পারি।”

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

সব ভুল কি ক্ষমা করা উচিত ? ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা আমাদের কী শেখায় ?


          


আধুনিক আধ্যাত্মিকতা যেখানে নিঃশর্ত ক্ষমার কথা বলে, সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শেখান কাকে, কখন, কেন ক্ষমা করতে হয়।

🧠 নিঃশর্ত ক্ষমা না, বরং বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত

আজকাল অনেকেই বলে, “সবকিছু ক্ষমা করে দাও, মন হালকা হবে।” কিন্তু সত্যি কি সবসময় ক্ষমা করাই ভালো? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কিন্তু বলেছিলেন একটু ভেবেচিন্তে ক্ষমা করতে হবে। কারণ, চোখ বুজে ক্ষমা করা মানে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া।

⚔️ অর্জুনকে কৃষ্ণ যা বলেছিলেন

যুদ্ধে যাওয়ার আগে অর্জুন দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন—ভাবছিলেন , যুদ্ধ করা কি ঠিক হবে?
তখন কৃষ্ণ স্পষ্ট করে বললেন: “চুপ করে বসে থাকা মানেই অন্যায়কে জিতে যেতে দেওয়া।”
এখানে প্রতিশোধ নয়, বরং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোই কর্তব্য।

🙏 ক্ষমা মানে কি সব ভুল মাফ?

না! ক্ষমা একটা ভাবনা নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত।
যারা বারবার কষ্ট দেয়, তাদের ক্ষমা করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

কৃষ্ণও শিশুপালকে ১০০ বার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর? তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এই গল্পটা বোঝায় — ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকে।
 
🎯 তাহলে কাকে ক্ষমা করব?

ক্ষমা করা উচিত সেই মানুষকে,
✅ যে সত্যি অনুতপ্ত
✅ যে নিজের ভুল বুঝেছে এবং বদলাতে চায়
ক্ষমা যদি তোমার মনের ভার কমায়, শান্তি দেয় — তাহলে করো।
কিন্তু যদি কেউ সেই একই ভুল বারবার করে, তাহলে আর না!
ক্ষমা কোনো সোশ্যাল প্রেশারে নয় — এটা আত্মসম্মানের ব্যাপার।


পরিশেষে বলতে চাই ,ক্ষমা দুর্বলতার নয়, বড় মনের পরিচয়। কিন্তু সেটাও বুদ্ধির সঙ্গে করতে হয়।
সব কিছুতেই "ক্ষমা করো, মাফ করে দাও" বলার যুগ শেষ — এখন সময় এসেছে বুঝে শুনে, সম্মান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের শেখান — ক্ষমা করো, তবে বুদ্ধি নিয়ে। নাহলে অধর্ম মাথা চাড়া দেবে।

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

দারিদ্র্য় দহন শিব স্তোত্রম্



বিশ্বেশ্বরায় নরকার্ণব তারণায়

কর্ণামৃতায় শশিশেখর ধারণায় ।

কর্পূরকাংতি ধবলায় জটাধরায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 1 ॥


গৌরীপ্রিয়ায় রজনীশ কলাধরায়

কালাংতকায় ভুজগাধিপ কংকণায় ।

গংগাধরায় গজরাজ বিমর্ধনায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 2 ॥


ভক্তপ্রিয়ায় ভবরোগ ভয়াপহায়

উগ্রায় দুঃখ ভবসাগর তারণায় ।

জ্য়োতির্ময়ায় গুণনাম সুনৃত্যকায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 3 ॥


চর্মাংবরায় শবভস্ম বিলেপনায়

ফালেক্ষণায় মণিকুংডল মংডিতায় ।

মংজীরপাদয়ুগলায় জটাধরায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 4 ॥


পংচাননায় ফণিরাজ বিভূষণায়

হেমাংকুশায় ভুবনত্রয় মংডিতায়

আনংদ ভূমি বরদায় তমোপয়ায় ।

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 5 ॥


ভানুপ্রিয়ায় ভবসাগর তারণায়

কালাংতকায় কমলাসন পূজিতায় ।

নেত্রত্রয়ায় শুভলক্ষণ লক্ষিতায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 6 ॥


রামপ্রিয়ায় রঘুনাথ বরপ্রদায়

নাগপ্রিয়ায় নরকার্ণব তারণায় ।

পুণ্য়ায় পুণ্যভরিতায় সুরার্চিতায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 7 ॥


মুক্তেশ্বরায় ফলদায় গণেশ্বরায়

গীতাপ্রিয়ায় বৃষভেশ্বর বাহনায় ।

মাতংগচর্ম বসনায় মহেশ্বরায়

দারিদ্র্যদুঃখ দহনায় নমশ্শিবায় ॥ 8 ॥


বসিষ্ঠেন কৃতং স্তোত্রং সর্বরোগ নিবারণম্ ।

সর্বসংপত্করং শীঘ্রং পুত্রপৌত্রাদি বর্ধনম্ ।

ত্রিসংধ্য়ং যঃ পঠেন্নিত্য়ং স হি স্বর্গ মবাপ্নুয়াত্ ॥ 9 ॥


॥ ইতি শ্রী বসিষ্ঠ বিরচিতং দারিদ্র্যদহন শিবস্তোত্রং সংপূর্ণম্ ॥

মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

সাবিত্রী ও সত্যবানের গল্প



প্রাচীনকালে অশ্বপতি নামে এক রাজা ছিলেন। তাঁর অনেক বছর ধরে সন্তান ছিল না। বহু প্রার্থনা ও যজ্ঞ করার পর দেবী সাভিত্রী তাঁকে কন্যা সন্তান দান করেন। কন্যার নাম রাখা হয় সাবিত্রী।


সাবিত্রী বড় হয়ে ওঠে, এক গুণবতী, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী নারী হিসেবে। অনেক রাজপুত্র তাঁকে বিয়ে করতে চাইলেও সে নিজের জীবনসঙ্গী নিজে বেছে নিতে চায়। একদিন সে এক বনবাসী যুবক সত্যবান-এর প্রেমে পড়ে। সত্যবান ছিলেন রাজবংশীয়, কিন্তু পিতার রাজ্য হারিয়ে বনেই বাস করতেন।


ঋষি নারদ সাবিত্রীকে সাবধান করে বলেন, “সত্যবানের জীবনের আয়ু খুব অল্প। মাত্র এক বছরের মধ্যে সে মারা যাবে।” কিন্তু সাবিত্রী অটল থাকল। সে বলে, “আমি একবার মন থেকে যাকে গ্রহণ করেছি, সে-ই আমার স্বামী। আমি তার সঙ্গেই থাকব।”


বিয়ে হয়ে যায়। সাবিত্রী সত্যবানের সাথে বনেই থাকতে শুরু করে। দিন যায় । সাবিত্রী, সত্যবানের সঙ্গে যায় বনে কাঠ কাটতে।
বনে হঠাৎ সত্যবান মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায়। ঠিক তখনই আসে যমরাজ — মৃত্যুর দেবতা, সত্যবানের প্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সাবিত্রী যমরাজকে অনুসরণ করতে থাকে। যমরাজ বলে, “তুমি ফিরে যাও, স্ত্রী হয়ে তুমি নিজের ধর্ম পালন করেছো।”


কিন্তু সাবিত্রী বলে, “আমি ধর্মের পথে চলছি, তাই স্বামীর সঙ্গ ছেড়ে যেতে পারি না।” সে বুদ্ধিমত্তার সাথে যমরাজকে নানা যুক্তি দেয়।
যমরাজ খুশি হয়ে এক এক করে তিনটি বর দিতে রাজি হন।
১. তার শ্বশুর-শাশুড়ির চোখ যেন ফিরে আসে
২. তাদের রাজ্য যেন ফিরে পাওয়া যায়
৩. সে যেন বহু সন্তান লাভ করে


তখন যমরাজ বুঝতে পারেন, যদি সত্যবান ফিরে না আসে, তবে সাবিত্রী সন্তান লাভ করতে পারবে না। অতএব, তিনি সত্যবানের প্রাণ ফিরিয়ে দেন।
সাবিত্রী ফিরে আসে, সত্যবান জেগে ওঠে। এভাবেই এক সতী নারীর সাধনা ও প্রেম যমরাজকেও পরাজিত করে।
এই কাহিনি আজও বিবাহিত নারীদের মধ্যে এক মহান আদর্শ হয়ে আছে, যেখানে প্রেম, নিষ্ঠা ও বুদ্ধিমত্তা একত্রে সত্যিকারের শক্তির প্রকাশ ঘটায়।

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

নিত্যদিনের জলের টোটকা



আজ কিছু জলের টোটকা পড়লাম , একদম সহজ। তাই শেয়ার করলাম। 

  • প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে সামান্য হলুদের গুঁড়ো জলের সঙ্গে মিশিয়ে সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিন। ভাল আর্থিক উন্নতি হয়।
  • 'ঘরের ঈশান কোণে একটা মাটি বা তামার পাত্রে জলপূর্ণ করে রেখে দিন। আর্থিক উন্নতি দ্বিগুণ হবে। জল শুকিয়ে গেলে বা অপরিষ্কার হয়ে গেলে তখন পাত্রটা পরিষ্কার করে আবার জলপূর্ণ করে রেখে দিন।
  • একটা পাত্রে গঙ্গাজল বা কোনও পরিষ্কার জল নিন। পাত্রটি হাতে রেখে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। তার পর সেই জলটা সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিন। এর ফলে বাড়িতে থাকা সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর হবে।
  • রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে একটা পাত্র ভর্তি করে জল রেখে দিন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জলটা গাছের গোড়ায় ঢেলে দিন, এতে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপের হাত থেকে মুক্তি মিলবে ।

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

মা সরস্বতীর দ্বাদশ নাম স্তোত্র



প্রথমং ভারতী নাম ,দ্বিতীয়ং চ সরস্বতী।
তৃতীয়ং সারদা দেবী ,চতুর্থং হংসবাদিনী॥
পঞ্চমং জগতী খ্যাতা, ষষ্ঠং বাগীশ্বরী তথা।
সপ্তমং কুমুতি প্রোক্তা,অষ্টনং ব্রহ্মচারিণীং॥
নবমং বুদ্ধিদাত্রী চ, দশমং বরদায়িণী।
একাদশং চন্দ্রকান্তি, র্দাদশং ভুবনেশ্বরী॥
দ্বাদশৈতানি নামানিত্রিসন্ধ্যাং যঃপঠেন্নরঃ।
জিহাগ্রে বসতে নিত্যং ব্রহ্মরূপা সরস্বতী ॥

🙏জয় মা সরস্বতী ,হে মা সরস্বতী সবাইকে বিদ্যা ,বুদ্ধি জ্ঞান প্রদাণ করুন 🙏

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলায় নবগ্রহ বীজমন্ত্র


সূর্যের বীজমন্ত্র
‘ওম হাং হীং হৌং সঃ সূর্যায় নমঃ’
👉রবিবার সকালে স্নানের পরে ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা ভালো |
চন্দ্র বীজমন্ত্র
‘ওম শ্রাং শ্রীং শ্রৌং সঃ চন্দ্রমসে নমঃ’
👉সোমবার সকালে ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা ভালো |
মঙ্গল বীজমন্ত্র
‘ওম ক্রাং ক্রীং ক্রৌং সঃ ভৌমায় নমঃ’
👉
মঙ্গলবার সকালে ১০৮ বার এই মন্ত্র জপ করা ভালো |
বুধ বীজমন্ত্র
‘ওম ব্রাং ব্রীং ব্রৌং সঃ বুধায় নমঃ’
👉বুধের বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
বৃহস্পতি বীজমন্ত্র
‘ওম গ্রাং গ্রীং গ্রৌং সঃ গুরুবে নমঃ’
👉রোজ সন্ধেবেলা এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
শুক্র বীজমন্ত্র
‘ওম দ্রাং দ্রীং দ্রৌং সঃ শুক্রায় নমঃ’
👉শুক্রবার সকালে স্নানের পর এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
শনি বীজমন্ত্র
‘ওম প্রাং প্রীং প্রৌং সঃ শনৈশ্চরায় নমঃ’
👉শনিবার এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
রাহু বীজমন্ত্র
‘ওম ভ্রাং ভ্রীং ভ্রৌং সঃ রাহবে নমঃ’
👉
রোজ রাতে এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |
কেতু বীজমন্ত্র
‘ওম স্রাং স্রীং স্রৌং সঃ কেতবে নমঃ’
👉রোজ রাতে এই বীজমন্ত্র ১০৮ বার জপ করা ভালো |

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভ্রামরী প্রাণায়াম কীভাবে করবেন?



ভ্রমর’ শব্দের অর্থ মৌমাছি, আর ভ্রামরী প্রাণায়ামের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটি করতে করতে মৌমাছির গুঞ্জনের মতো শব্দ করতে হয়। কীভাবে এই প্রাণায়াম করবেন?


  1. প্রথমে, একটি মাদুরে বসে শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। পা মুড়ে আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসুন। হাতগুলো হাঁটুর উপরে রাখুন এবং চোখ বন্ধ করে শিথিল হন।
  2. এরপর, মুখ বন্ধ রাখুন তবে দাঁতের মাঝে কিছুটা ফাঁক রাখুন। হাত দুটো পাশে সোজা করে কানের কাছে আনুন এবং মাঝের আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করুন।
  3. ধীরে ধীরে নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ার সময় গলা দিয়ে মৌমাছির মতো গুনগুন শব্দ করুন। মুখ বন্ধ রেখে শব্দ গলা থেকে আসবে এবং শ্বাস ছাড়ার সময় যতটা সম্ভব ধীরে ধীরে শব্দ করবেন।
  4. গুনগুন শব্দ করার সময় গলা, মাথা ও চোয়ালে মৃদু কম্পন অনুভব করবেন, যা মন ও শরীরকে চাপমুক্ত করবে। এক রাউন্ড শেষে আবার শ্বাস নিন এবং এই প্রক্রিয়াটি ৫-৭ বার পুনরাবৃত্তি করুন।

উপকারিতা

ভ্রামরী প্রাণায়াম মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শান্ত করে, স্নায়ুকে শিথিল করে, রাগ ও উদ্বেগ দূর করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত অভ্যাসে একাগ্রতা, মনঃসংযোগ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মধু ও পিঁপড়ের গল্প

এক ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে ছিল, তার পাশ দিয়ে একটি ছোট পিঁপড়া যাচ্ছিল। মধুর ঘ্রাণ পেয়ে থেমে গেল পিঁপড়াটি। ভাবল, একটু মধু খেয়ে নেই, তারপর সামনে যাব। প্রথম চুমুক খেলো, খুব মজা পেল। ভাবল, আরেকটু খাই। আরও এক চুমুক খেলো। খেতে খেতে সামনে চলতে থাকল, আর ঠোঁট থেকে মধু চেটে খাচ্ছিল। ভাবল, আরেকটু খেলে মন্দ হবে না। 


ফিরে গিয়ে আবার মধু খেতে শুরু করল। এবার পুরো মধুর উপর উঠে বসে মধু খেতে লাগল। খেতে খেতে তার পেট ফুলে গেল, আর ধীরে ধীরে তার পা দুটো মধুর মধ্যে ডুবে যেতে লাগল। তখন টনক নড়ল, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। মধু থেকে বের হতে আপ্রাণ চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না। 


মধুতে পুরো শরীর আটকে গেল, আর শ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগল। শেষ পর্যন্ত মধুর মধ্যে আটকে পড়েই মারা গেল পিঁপড়াটি।


সারাংশ : দুনিয়ার মোহ অনেকটা মধুর মতো। অল্পতে তুষ্ট থেকে সৎভাবে জীবন কাটালে মানুষ বেঁচে যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত লোভে পড়ে সব কিছু পেতে চাইলে, একদিন সেই মোহের জালে আটকে ধ্বংস হয়ে যাবে।

শ্রী কেনগাল অঞ্জনেয়া স্বামী মন্দির

কেনগালে হনুমানের রহস্য ভারতের সংস্কৃতি শুধু প্রাচীনই নয়, বরং আজও মানুষকে টানে তার রহস্য আর শক্তিতে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের মন্দির আ...