আধুনিক আধ্যাত্মিকতা যেখানে নিঃশর্ত ক্ষমার কথা বলে, সেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শেখান কাকে, কখন, কেন ক্ষমা করতে হয়।
🧠 নিঃশর্ত ক্ষমা না, বরং বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত
আজকাল অনেকেই বলে, “সবকিছু ক্ষমা করে দাও, মন হালকা হবে।” কিন্তু সত্যি কি সবসময় ক্ষমা করাই ভালো? ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কিন্তু বলেছিলেন একটু ভেবেচিন্তে ক্ষমা করতে হবে। কারণ, চোখ বুজে ক্ষমা করা মানে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া।
⚔️ অর্জুনকে কৃষ্ণ যা বলেছিলেন
যুদ্ধে যাওয়ার আগে অর্জুন দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন—ভাবছিলেন , যুদ্ধ করা কি ঠিক হবে?
তখন কৃষ্ণ স্পষ্ট করে বললেন: “চুপ করে বসে থাকা মানেই অন্যায়কে জিতে যেতে দেওয়া।”
এখানে প্রতিশোধ নয়, বরং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোই কর্তব্য।
🙏 ক্ষমা মানে কি সব ভুল মাফ?
না! ক্ষমা একটা ভাবনা নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত।
যারা বারবার কষ্ট দেয়, তাদের ক্ষমা করতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কৃষ্ণও শিশুপালকে ১০০ বার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর? তিনি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এই গল্পটা বোঝায় — ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকে।
🎯 তাহলে কাকে ক্ষমা করব?
ক্ষমা করা উচিত সেই মানুষকে,
✅ যে সত্যি অনুতপ্ত
✅ যে নিজের ভুল বুঝেছে এবং বদলাতে চায়
ক্ষমা যদি তোমার মনের ভার কমায়, শান্তি দেয় — তাহলে করো।
কিন্তু যদি কেউ সেই একই ভুল বারবার করে, তাহলে আর না!
ক্ষমা কোনো সোশ্যাল প্রেশারে নয় — এটা আত্মসম্মানের ব্যাপার।
পরিশেষে বলতে চাই ,ক্ষমা দুর্বলতার নয়, বড় মনের পরিচয়। কিন্তু সেটাও বুদ্ধির সঙ্গে করতে হয়।
সব কিছুতেই "ক্ষমা করো, মাফ করে দাও" বলার যুগ শেষ — এখন সময় এসেছে বুঝে শুনে, সম্মান নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের শেখান — ক্ষমা করো, তবে বুদ্ধি নিয়ে। নাহলে অধর্ম মাথা চাড়া দেবে।